Hits: 14
পূর্ব রেলওয়ের উল্লেখযোগ্য প্রকল্প গুলির মধ্যে কামারপুকুর ও জয়রামবাটি লাইন সংযোগ এর কাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প। কামারপুকুর, জয়রামবাটি, বড়গোপীনাথপুর, ময়নাপুর এবং গোকুলনগর – জয়পুরে প্রস্তাবিত স্টপেজগুলির বিষ্ণুপুরের সাথে হুগলি জেলার পূর্ব রেলওয়ে অংশের সাথে সংযোগ করার চাবিকাঠি এই রেল প্রকল্পটি। এই প্রকল্পের এর মধ্যে অবস্থিত ভাবাদিঘির বিষয়ে গত কয়েক মাস ধরে রেলওয়ে আধিকারিকরা পর্যবেক্ষণ এবং আলোচনার মাধ্যমে খুব দ্রুত তার সাথে কাজ করে চলেছে যাতে প্রজেক্টটি তাড়াতাড়ি শেষ করা যায়। রেলওয়ে আধিকারিকরা রাজ্য সরকারের উচ্চ পদস্থ আধিকারিক (ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট হুগলি, অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট ল্যান্ড একুইজিশন হুগলি এবং সাব ডিভিশনাল অফিসার আরামবাগ) দের সাথে ভাবাদিঘী সংক্রান্ত সমস্যাগুলি নিয়ে অনেকবার আলোচনা করেছেন এবং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অনুমতি ও দেওয়া হয়েছিল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য জমি অধিগ্রহণ আইন ১৮৯৪ অনুযায়ী ভাবাদিঘি এলাকার ১.২৪ একর জমি ১৬.৭.২০১২ তারিখে এবং ১.৮১ একর জমি ১২.০৩.২০১২ তারিখে রেল কর্তৃপক্ষ কে (রেলওয়ে অথরিটি) জমি হ্যান্ডওভার করা হয়েছিল । এবং রেলওয়ে প্রকল্পটির কাজ এ বছরই ১৬ জুলাই তারিখ থেকে শুরু করার পরিকল্পনা ছিল । রাজ্য সরকারের পুলিশ বিভাগ আপাতত কোনোরকম নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন। এই পরিপেক্ষিতে রেলওয়ে আধিকারিকরা পুনরায় রাজ্য সরকারের কাছে এই প্রজেক্টটি চালু করার জন্য অনুমতি নেবে এবং আশা করা যায় খুব শীঘ্রই এই উক্ত প্রকল্প চালু করতে পারবে।
পূর্ব রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ পরিদর্শনের সময়ে এই প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান ভবাদিঘির স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে মতবিনিময় করেন। গ্রামবাসীদের কাছে ভাবাদিঘি / পুকুর এলাকার তাৎপর্য স্বীকার করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেন যে, স্থানীয় জীবিকার উপর কোনো বিরূপ প্রভাব যাতে না পড়ে তার জন্য সক্রিয় নিরীক্ষণ থাকবে। তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্পটির মধ্যে গোঘাট – কামারপুকুর ও জয়রামবাটির মধ্যে লাইন সংযোগ এর কাজ শেষ হলে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধির একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করবে । সুমধুর ভ্রমণ অভিজ্ঞতার মাধ্যমে, রেলের এই উদ্যোগটি, এই অঞ্চলটিকে পর্যটন এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত।