Hits: 14
আপনি নিশ্চয়ই রেলগেটে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে যান? কিন্তু যখন রেলগেট পড়ে , সাইরেন বাজে এবং লাল সিগন্যাল থাকে, আপনার তখন দাঁড়িয়ে যাওয়াই উচিত কারণ ট্রেনটি ট্র্যাকে আছে এবং ট্রেনটি সেই সময় ওখান দিয়ে পাস্ করবে, সেইজন্যই রেলগেটটি বন্ধ থাকে। প্রায়শই দেখা যায় রেলগেটগুলি বন্ধ হওয়ার মুখে মানুষজন তাড়াহুড়ো করে সেটি পেরোনোর চেষ্টা করে এবং মানুষজন একবার ঢুকে পড়লেই ট্রেন চলাচলে সমস্যা তৈরী হয়। ইদানিংকালে লক্ষ্য করা যাচ্ছে কিছু কিছু লেভেল ক্রসিং গেট বন্ধ করতে চেয়েও বন্ধ করা যাচ্ছেনা কারণ গাড়ি, মোটরবাইক ইত্যাদি ক্রমাগত লেভেল ক্রসিং গেটের মধ্যে দিয়ে চলাচল করেই যাচ্ছে রেলগেট বন্ধ হওয়ার সাইরেন বাজা সত্ত্বেও। এরফলে বাধ্য হয়ে লেভেল ক্রসিং গেট খোলা থাকার কারণে ট্রেন স্টেশনে ঢোকার মুখে দাঁড়িয়ে থাকছে।
খড়দহে ৯ নং গেট , বেলঘড়িয়ায় ২ নং গেট , ব্যারাকপুরে ১৪ নং গেট, দমদম ক্যান্টনমেন্টের ১ ও ২ নং গেট, টিটাগড়ে ১২ নং গেট, রানাঘাটে ৫৭ নং ইত্যাদি গেটগুলিতে ব্যস্ত সময়ে অর্থাৎ সকাল ৮:৩০ থেকে ১১:৩০ টা এবং বিকেল ৫:৩০ টা থেকে ৮:৩০ টা পর্যন্ত লক্ষ্য করা যাচ্ছে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখতে হচ্ছে প্রায় ১৫-২০ মিনিট। এরফলে অপেক্ষারত প্রতি ট্রেনে যাত্রাকারী প্রায় ১০০০-১২০০ যাত্রীদের প্রচুর সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে এবং তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হচ্ছে। যাত্রাপথে প্রতি রেলগেটে যদি একটি ট্রেনকে খুব কম করে ৫-৭ মিনিটও অপেক্ষা করতে হয় তবে ৫-৬টি লেভেল ক্রসিং গেট মিলিয়ে প্রায় আধ ঘন্টা লেট্ হয়ে যায়। এই লেট্ অন্যসব ট্রেনকেও প্রভাবিত করে ফলে যাত্রীরা অসুবিধার সম্মুখীন হন। একই অবস্থা রিষড়ায় ৩ ও ৪ নং গেট, উত্তরপাড়ায় ২সি , বৈদ্যবাটিতে ১১ স্পেশাল, বেলুড়ে দেড় নম্বর গেট, তালিতে ৫৬ স্পেশাল ইত্যাদি গেটগুলির ক্ষেত্রেও। একটি ট্রেন এই বিলম্বের কারণে গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি করলে তার ফলে সেই ট্রেনটি ফেরত আসার সময়েও একইরকম দেরি করে ফেলছে , এতে আখেরে আপনাদের অর্থাৎ যাত্রীসাধারণেরই অসুবিধা হচ্ছে।
রেলওয়ের তরফ থেকে আপনাদের কাছে অনুরোধ, গেট যখন পড়ছে সেই সময়ে আপনারা রেললাইনের পরিধিতে ঢোকার চেষ্টা করবেন না, বন্ধ লেভেল ক্রসিংয়ে জোর করে প্রবেশ করা একটি দণ্ডনীয় অপরাধ তো বটেই , এছাড়াও এতে আপনাদের প্রাণের ঝুঁকিও রয়েছে।