Hits: 10
রাখী সাহা : নাবালিকা ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের দায়ে শ্রীরামপুর কলেজের থিওলজি ডিপার্টমেন্টের এক অধ্যাপক প্রতাপ দিগলকে পকসো আইনে দোষী সাব্যস্ত করে কুড়ি বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের শাস্তি দিলেন শ্রীরামপুর আদালতের প্রথম অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট পকসো কোর্টের বিচারক মনোজ কুমার রাই ।
উড়িষ্যার বাসিন্দা প্রতাপ দিগল থাকতেন শ্রীরামপুর কলেজের স্টাফ কোয়াটার ম্যাক হাউজে । সরকারি আইনজীবী জয়দীপ মুখার্জী জানান ওই অধ্যাপক একটি এনজিও তৈরি করে দুঃস্থ মেয়েদের লেখাপড়া শেখাতেন ম্যাক হাউজে রেখে । আর সেখানেই ২০২২ সালের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে পড়তে আসেন ওই নাবালিকা । অভিযোগ এরপর কয়েক দিনের মধ্যেই ঐ নাবালিকার ওপর যৌন ও শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন শুরু করেন ঐ অধ্যাপক ।
পরে মেয়েটি লুকিয়ে ফোন করে তার দিদিকে সব ঘটনার কথা জানায় । দিদি তার নির্যাতিতা বোনকে উদ্ধার করে শ্রীরামপুর মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করে । পরের দিনই শ্রীরামপুর মহিলা থানার ওসি নিবেদিতা কোলে যিনি এই কেসের আই ও অভিযুক্ত ঐ অধ্যাপককে গ্রেফতার করে । এরপ্য পকসো আইনে মামলা শুরু হয় ।
গতকাল বিচারক মনোজ কুমার রাই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং আজ তার সাজা ঘোষণা হয় । সরকারি আইনজীবী জয়দীপ মুখার্জী জানান, বিচারক অভিযুক্তকে কুড়ি বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরোও ছয় মাসের সশ্রম কারাদন্ডের সাজা শুনিয়েছেন। এছাড়াও ৫০৬ নম্বর ধারায় অভিযুক্তর ১০০০০ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরোও আরো একমাসের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছেন।
এবং বিচারক ১৬ বছর বয়সী নির্যাতিতাকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য ডিস্ট্রিক্ট লিগল সার্ভিস অথরিটিকে অর্ডার দিয়েছেন ।
তবে অভিযুক্ত অধ্যাপকের আইনজীবী অরুণ আগারওয়াল বলেন এটি একটি মিথ্যা সাজানো মামলা , এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে
যাব ।
বিচারকের এই রায়ে খুশি ওই নির্যাতিতা । তিনি বলেন , এর জন্যই আড়াই বছর ধরে অপেক্ষা করেছিলাম । এরপর থেকে আর কোন শিক্ষক যেন পড়ানোর নাম করে কোন ছাত্রীর ক্ষতি করতে না পারে ।