Hits: 11
গতকাল সন্ধ্যায় মাহেশে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো দ্বাদশ গোপাল উৎসব। বেশ কয়েকটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের শিল্পীরা শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর মূর্তি সহ নৃত্য , গীত ও হরিনাম সংকীর্তনের মধ্যে দিয়ে নগর পরিক্রমা করে । এই পরিক্রমা শুরু হয় মাহেশ জগন্নাথ মন্দির থেকে এবং যায় মাসির বাড়িতে। মাসির বাড়িতে ঢোকার আগে ৭ বার রথ পরিক্রমা করা হয় । এরপর শ্রীচৈতন্যদেবের সঙ্গে জগন্নাথদেবের মুখোমুখি সাক্ষাৎ করানো হয় ।
মাহেশের দ্বাদশ গোপাল উৎসব খুবই বিখ্যাত একটি উৎসব, তবে এবারে জাঁকজমক ছিল একটু বেশিই। জানা যায় পুরী যাওয়ার পথে একবার শ্রীচৈতন্যদেব তার দ্বাদশ গোপালকে সঙ্গে নিয়ে ধ্রুবানন্দ ব্রহ্মচারী প্রতিষ্ঠিত হোগলা পাতা ও গোলপাতার ছাওয়া মন্দিরে জগন্নাথদেবের দর্শনে এসেছিলেন । এসে তিনি জগন্নাথদেবকে দেখে হঠাৎই ভাববিহ্বল হয়ে পড়েন এবং এরপরেই অচৈতন্য হয়ে যান । তিনিই মাহেশকে নব নীলাচল আক্ষা দিয়েছিলেন।
শ্রীচৈতন্যদেবকে বৃদ্ধ ধ্রুবানন্দ ব্রহ্মচারী অনুরোধ করেছিলেন যে , তিনি বয়সের ন্যুব্জ , তাই জগন্নাথদেবের সেবার ভার তিনি যদি গ্ৰহণ করেন । কিন্তু চৈতন্যদেব সেই সময় এই দায়িত্ব নিতে চাননি, বরং তিনি তার অন্যতম পার্ষদ , দ্বাদশ গোপালের অন্যতম পঞ্চম গোপাল কমলাকর পিপলাইকে জগন্নাথ দেবের সেবার ভার তুলে দেন । শোনা যায় সেই সময় শ্রীচৈতন্যদেব তার পার্ষদদের নিয়ে এখানে হরিনাম সংকীর্তন করেছিলেন । সেই থেকেই মাহেশে চলে আসছে দ্বাদশ গোপাল উৎসব